বরিশাল
বাবুগঞ্জের আত্মগোপন করা অধ্যক্ষের দুর্নীতি ফাঁসে তোলপাড় ॥ বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মশিউর রহমান কর্তৃক ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করার ঘটনা ফাঁস হওয়ার ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে ওই অধ্যক্ষর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্নিং বডির নির্বাচন উপলক্ষে অতিসম্প্রতি হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ওই নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অধ্যক্ষ মোঃ মশিউর রহমান নগরীর অক্সফোর্ড মিশন হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত তার পুত্র আবিদ রহমানকে কৌশলে পরিচয় গোপন করে চাঁদপাশা স্কুলে ভর্তি করেন। সূত্রমতে, মশিউর রহমানের স্ত্রী ও কলেজের বর্তমান প্রভাষিকা সাবিহা নাসরিনের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে হাজিরা খাতায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ৯১ রোল নম্বরধারী ছাত্র আলাউদ্দিন সাব্বিরের নাম সাদা কালি দিয়ে মুছে সেখানে নিজের ছেলে আবিদ রহমানের নাম লেখা হয়। স্কুলের ভর্তি রেজিষ্ট্রারে নাম না থাকলেও ওই হাজিরা খাতা অনুসারেই কয়েকদিন আগে নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। বিষয়টি ফাঁস হলে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজের প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৩০ টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপন করেন অধ্যক্ষ মশিউর রহমান। অতিগোপনে তিনি সাহেবেরহাট শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ থেকে কোন ধরনের ছাড়পত্রও গ্রহণ করেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট রিপোর্ট অনুসারে, প্রতিষ্ঠানের ওই বিপুল অংকের টাকার কোন হিসাব না দিয়েই মশিউর রহমান আত্মগোপন করেছেন। চাঁদপাশা হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা পারভীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর থেকে তদন্তের জন্য তাকে (মশিউর রহমান) ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। এসব ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মশিউর রহমানের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মশিউর রহমানের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে ফোনের লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।