গৌরনদী
জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ ॥ গৌরনদীতে হামলা সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর-আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদক, গৌরনদী২৪ ডটকম ঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাঘমারা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি বাড়ি ভাঙচুরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ৩০ জনকে আসামি গৌরনদী মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, ও আহতরা জানান, গৌরনদী উপজেলার বাঘমারা গ্রামের মৃত রহেদ খানের পুত্র মাজেদ খান গংদের সাথে একই গ্রামের মোতালেব বেপারী গংদের দীর্ঘ দিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার মাজেদ খান বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোতালেব বেপারী গংদের বিবাদী করে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গৌরনদী থানার ভারপ্র্প্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে নিদের্শ দেন। ওই আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সগীর হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১১টায় এসআই সগীর হোসেন উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ দিয়ে পুলিশ চলে আসার পর পরই উভয় গ্রুপের মধ্যে ঝগরা-বিবাদ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মাজেদ খান অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরেই সোমবার সকাল ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মোতালেব বেপারীর নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মামুন প্যাদা, সোহরাবসহ ২০/ ২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় । সন্ত্রাসীরা আমার ভাতিজা ২নং বার্থী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য খায়রুল আহসান খোকন, কাঁলাচান খান ও শাহাদাত খানের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। মোতালেব বেপারী হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাজেদ খানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আকস্মীকভাবে অমার সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এর প্রতিবাদ করলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৬ জনকে জখম করেছে।