গৌরনদী
গৌরনদীতে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ১২ নেতাকর্মীর জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির ১২ নেতা কর্মী জামিন লাভ করেছে। মঙ্গলবার বরিশাল জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১২ আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ৪ জুলাই রাতে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ৭ জনকে আহত করে এবং ১২ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল। পরবর্তিতে নাশকতা সৃষ্ট্রির পরিকল্পনার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। ১৫ দিন কারাভোগের পর জামিন পান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বরিশাল জেলা জজ আদালতের পেশকার জানান, গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করা নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত ১২ আসামির জামিন চেয়ে তাদের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোঃ জাহিদুল ইসলাম জেলা জজ আদালতে আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কে,এম, রাশেদুজ্জামান রাজা জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আনিমুল ইসলাম (৪৭), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল গাজী (৫০), ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মন্টু খান (৪৫), বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক কাইয়ুম খান (৩৮), ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মোঃ এনাযেত হোসেন (৩২), জাফর খান (৩৩) সাইফুল ইসলাম (৩০), রেজাউল মোল্লা (৩৪), সামিউল বেপারী (৩০) ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী আকাশ খন্দকার (২৬), মোঃ মুন্নœা আহম্মেদ (২৪) ও ইখতিয়ার তালুকদার (৩৬)।
বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আনিমুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় কতিপয় কর্মীদের নিয়ে পরামর্শ করছিলাম। এ সময় ৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন প্যাদার (৪০) নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৭ জনকে আহত করে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে ১২ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির পরিকল্পনার মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। অভিযোগের ব্যপারে জানতে চাইলে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেনের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিরা নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। আসামিদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।